ইতিহাস গড়ে ২৭তম হকি লীগ ঘরে তুললো মোহনবাগান।

বঙ্গ হকির আকাশে আবারও উদীয়মান মোহন সূর্য ।



বঙ্গরাজ্যের ক্রীড়া মোহনবাগানময়। চিরকাল রেলায় আছে, থাকবে মোহনবাগান। পরপর দুবার ফুটবলে ভারতসেরা হয়ে, এবার হকিতেও কলকাতা সেরার খেতাব দখল করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ২০২৫ মরশুমে প্রথমবারের জন্য ক্যালকাটা প্রিমিয়ার হকি লিগ অনুষ্ঠিত হল অ্যাস্ট্রোটার্ফে, নবনির্মিত হাওড়ার ডুমুরজোলা স্টেডিয়ামে। সেদিক দিয়ে এই জয় অন্য ছাব্বিশবারের ক্যালকাটা প্রিমিয়ার হকি লিগ জয়ের থেকে আলাদাভাবে উল্লেখিত হবার দাবি রাখে।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে ফুটবলের মত হকিতেও পর্যুদস্ত করল মোহনবাগান। খেলার ফলাফল ৩-১, মোহনবাগানের হয়ে গোল করলেন অর্জুন শর্মা, কার্থি সেলভাম এবং মহম্মদ রাহিল। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই মোহনবাগান দাপট দেখিয়েছে, অনেকটা ফুটবলের আইএসএলের মতোই। ইস্টার্ন জোন এফসিআইকে ৭-০ গোলে হারিয়ে এবারের ক্যালকাটা প্রিমিয়ার হকি লিগে যাত্রা শুরু হয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের। তারপর সিইএসসিকে ৯-১ গোলে, নাভাল টাটা হকি দলকে ৬-২ গোলে হারালেও ইস্টবেঙ্গলের সাথে ২-২ ড্র করে পয়েন্ট খোয়াতে হয় গঙ্গাপারের ক্লাবকে। 



তারপর কলকাতা কাষ্টমসকে ৫-২ গোলে চূর্ণ করে, মহামেডানকে ৪-০ গোলে এবং বিএনআরকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে ওঠে মোহনবাগান। ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের হাত থেকে ট্রফি ছিনিয়ে নিয়ে রেকর্ড ২৭ বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হল গঙ্গাপারের ক্লাব। টুর্নামেন্টে ৯ গোল করে মোহনবাগানের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা আভরণ সুদেব। ফাইনালের দ্বিতীয় গোলদাতা কেরলের কার্থি সেলভাম মোট ৬ গোল করে মোহনবাগানের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। এছাড়াও টুর্নামেন্টে মোহনবাগানের হয়ে জালে বল জড়িয়েছেন নীতিশ নেউপেন (৫), গনেশ মাজি (৪), এমকে ভরত, প্রতাপ লাকরা ও মহম্মদ রাহিল (৩), দীপক (২) এবং অজয়, সুদীপ, অর্জুন ও দীপ্সান (১)।



ক্যালকাটা প্রিমিয়ার হকি লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে সিইএসসির বিরুদ্ধে ৯-১ ব্যবধানে জয়ই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে মোহনবাগানের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। সিপিএইচএল জয় সবুজ মেরুন তাঁবুতে হকির ৪৩ নম্বর ট্রফি এনে দিল। বাংলার হকি যদিও তার পুরোনো গৌরব হারিয়েছে, তবুও হকির বড়ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের উন্মাদনা ছিল দেখার মত। এজন্য অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হয় হকি বেঙ্গল সচিব ইশতিয়াক আলীকে।



অ্যাস্ট্রোটার্ফ নষ্ট হয়ে যাবে বলে বেঙ্গল হকির কর্তারা চ্যাম্পিয়ন দলের সচিব বাদে বাকি কর্তাদের মাঠে ঢুকতে বারণ করলে এক মনোনীত কর্তা ইশতিয়াক আলীকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে শুরু করেন। সেসময়ে মাঠে পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারত বিখ্যাত হকি প্লেয়ার এবং মোহনবাগান রত্ন গুরুবক্স সিং এবং ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মোহনবাগান আধাকর্তার এহেন আচরণ ক্লাবের গরিমায় কালিমা লেপন করে। তাই সব ভালোর শেষটা মোহনবাগানোচিত হলো না।

Follow MBFT on TwitterFacebookInstagramYoutube, TelegramWhatsapp & Google News to stay updated with all the Mohun Bagan & Indian Football related News & Updates. Jai Hind Jai Bharat! Joy Mohun Bagan!

Previous Post Next Post