মোহনবাগান CFL সুপার সিক্সের যোগ্যতা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আমাদের সামনে দুটি বড় ম্যাচ রয়েছে, একটি মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে এবং অন্যটি ডায়মন্ড হারবার এফসির বিপক্ষে। যদি আমরা এরমধ্যে অন্তত একটিতে জিততে পারি তাহলে আমরা সুপার সিক্সে পৌঁছে যাবো, কারণ আমাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে আর মাত্র ২ পয়েন্ট দরকার।
প্রতিপক্ষ পর্যবেক্ষন :-
ইস্ট বেঙ্গল, মহামেডান এসসি, ডায়মন্ড হারবার এফসি, ভবানিপুর এসসি এবং খিদিরপুর এসসি ইতিমধ্যেই সুপার সিক্সের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে।
আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা সিএফএল লিগ পর্বে বেশ ধারাবাহিক ছিল। মহামেডান প্রথম থেকেই তাদের সিনিয়র এবং জুনিয়রদের মিশিয়ে দল বানিয়ে CFL খেলছিল।
অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল প্রধানত তাদের জুনিয়র দলকে CFL-ই ব্যবহার করত, যদিও তাদের সিনিয়র দলের কিছু অনিয়মিত সদস্য যেমন সৌভিক চক্রবর্তী, তুহিন দাস, গুরসিমরত সিং গিল, সার্থক গোলুইকেও ব্যবহার করেছে। তবে , সদ্যপ্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা সুপার সিক্স ম্যাচের জন্য তাদের ৭/৮ জন সিনিয়র দলের খেলোয়াড়দের মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমামি ইস্ট বেঙ্গল ইতিমধ্যেই তাদের বেশ কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়কে সিএফএল-এর জন্য রেজিস্ট্রার করিয়েছে, যেমন হরমনজোত সিং খাবরা, মহেশ সিং, লালচুংনুঙ্গা, প্রভসুখান সিং গিল। সুতারাং তারা যে সিএফএল খেতাবের জন্য অলআউট যাবে তা নিশ্চিত।
মোহনবাগানের অবস্থান:-
আগে মোহনবাগানের CFL-এ সিনিওর দলের খেলোয়াড়দের মাঠে নামানোর কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু এখন সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই বদলে গেছে। প্রথমে টিম ম্যানেজমেন্ট ভেবেছিল যে তারা তাদের জুনিয়র খেলোয়াড়দের সিএফএলে যতটা সম্ভব খেলার সময় দেবে। সিএফএল-এর মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতের জন্য তরুণ প্রতিভাদের একটি ভাল পাইপলাইন তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু এখন মোহনবাগানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জুনিয়র খেলোয়াড় জাতীয় দলের দায়িত্বে রয়েছেন। যেমন সুহেল ভাট, সুমিত রাঠি, হামতে, আর্শ আনোয়ার শেখ, থমসোল টংসিন। তার উপরে সমর্থকদের চাপ তো আছেই। মোহনবাগানের মত বড় দল সবসময় জেতার জন্যই মাঠে নামে । এ ক্ষেত্রে সিএফএল ও তার ব্যতিক্রম নয়। এই কারণেই মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট বাকি সিএফএল ম্যাচগুলির জন্য কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়কে রেজিস্ট্রার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুসারে বিশাল কাইথ, গ্লান মার্টিন্স, লিস্টন কোলাসো এবং দীপক ট্যাংরিকে ইতিমধ্যেই সিএফএলে রেজিস্ট্রার করানো হয়েছে। আমরা হয়তো তাদের পরবর্তী ম্যাচে ১৪ ই সেপ্টেম্বর মহামেডান এসসির বিপক্ষে খেলতে দেখতে পারি। যদিও আশিক কুরুনিয়ানের চোটের পর, লিস্টনকে CFL-এ ব্যবহার করা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
আমাদের জুনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্ব করা উচিত, যে, তারা প্রায় নিশ্চিত করেছে যে আমরা সিএফএলের সুপার সিক্সের দ্বারপ্রান্তে এবং অবশ্যই, এতে কোচ বাস্তব রায়-এরও একটি বড় অবদান রয়েছে।
জয় মোহনবাগান।