মোহনবাগান দিবস কে জাতীয় ফুটবল দিবসের তকমা দিতে এআইএফএফ কে প্রস্তাব দিলো আইএমটি গাজিয়াবাদ


১৯১১ সালে খালি পায়ে ব্রিটিশ বধ করে প্রথম স্বদেশী দল হিসেবে আইএফএ শিল্ড জিতেছিলো মোহনবাগান। এই জয় ভবিষ্যতে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের রুপরেখাই বদলে দিয়েছিলো। নিজেদের এই গৌরবান্বিত অধ্যায় কে স্মরণ করে প্রতি বছর ২৯শে জুলাই 'মোহনবাগান দিবস' পালন করে থাকে ভারতের প্রাচীনতম ফুটবল ক্লাব, মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব।

এবারে, সেই ২৯ শে জুলাইকেই ভারতের 'জাতীয় ফুটবল দিবস' স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এআইএফএফ-কে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন Institute of Management Technology, Ghaziabad এর স্পোর্টস রিসার্চ সেন্টারের প্রধান, ডক্টর কনিষ্ক পান্ডে‌। 

দেড় মাস আগে আইএমটি গাজিয়াবাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এআইএফএফ-এর, যার মূল উদ্দেশ্য ছিলো Research এবং Innovation এর মাধ্যমে ভারতীয় ফুটবল কে মূলস্রোতে ছড়িয়ে দেওয়া। এই চুক্তি অনুসারেই আইএমটি তাদের এই প্রস্তাব এআইএফএফ কে পাঠিয়েছেন।

এআইএফএফ কে পাঠানো চিঠির একটা অংশ তুলে দেওয়া হলো

" July 29, 1911, a red-letter day in Indian history. The Swadeshi Movement had died out with top leaders mostly arrested, retired or in their heavenly abode. The Revolutionary Movement was gaining strides. The general population was mainly a spectator with mostly mundane activities hither thither.

It seemed as if the country needed a spark. And the spark came not in some political rally or through an act or martyrdom but it was from a football field. Mohun Bagan, one of the oldest football clubs in Asia founded in the year 1889 in Kolkata by three prominent aristocratic Bengali Families achieved the impossible within a span of 22 years.

On July 29, 1911, it became the first Indian Club to lift the IFA Shield defeating the East Yorkshire Regiment 2-1. "

তার এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কনিষ্ক জানিয়েছেন, " ফাইনালে ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের এই জয় শুধুমাত্র ১১ জন খেলোয়াড়ের জয়, বা একটি ক্লাব বা বাংলার জয় ছিল না। এটি তাদের শাসকদের বিরুদ্ধে একটি জাতির জয় ছিল। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম কেবল মধ্যপন্থী, চরমপন্থী, বিপ্লবীদের জন্য ছিল না, এটি এই বিজয়গুলি নিয়েও ছিল যা আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জন করেছি। যুদ্ধ সবসময় যুদ্ধক্ষেত্রে এবং আদালতে লড়াই করে জেতা যায় না। সত্যটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে তারা ভারতীয় জনগণের জন্য বিশাল আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিকারী হিসাবে কাজ করেছিল।"

" এই জয়টিকে পাঁচটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়- এটি ভারতীয়দের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিলো, যে তারা যদি খেলার মাঠে ব্রিটিশদের পরাজিত করতে পারে তবে এর বাইরেও একই কাজ করা যেতে পারে, শারীরিক হীনম্মন্যতার মিথ ভেঙ্গে গেছিলো, যখন ১১ 'দুর্বল খালি পায়ে' ভারতীয়রা ১১ 'বুটেড শক্তিশালী'কে পরাজিত করেছিল ব্রিটিশরা ফুটবলের মতো 'মানুষপূর্ণ' খেলায়, ঐক্য ও জাতীয়তাবাদকে উত্সাহিত করেছিল এবং এই বিজয় উদযাপনের জন্য সমস্ত অংশ একত্রিত হয়েছিল, ব্রিটিশদের পক্ষে তাদের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার একটি কারণ হতে পারে কারণ এই বিজয় ছিল। জনগণের দ্বারা খুব আক্রমণাত্মকভাবে উদযাপন করা হয়েছিল যা ব্রিটিশদের জন্য অপমানজনক ছিল এবং অবশ্যই এটি ভারতীয় ফুটবল সংস্কৃতিকে বাড়িয়ে তুলেছিল"

কনিষ্কবাবুর এই প্রস্তাব এআইএফএফ মানলে, আগামী বছর থেকে মোহনবাগান দিবসের সাথেই একসাথে পালিত হবে জাতীয় ফুটবল দিবস-ও। যা অমর একাদশ এবং মোহনবাগানের মুকুটে নতুন পালক জুড়বে বলার অপেক্ষা রাখেনা।

তথ্যসূত্র: News Room Odisha 
Previous Post Next Post